দল নয়, ক্ষমতা যার, পাশে তার — চেচরীরামপুরের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মান্নান হাওলাদারের বিতর্কিত রাজনীতি

বরিশাল

বিশেষ প্রতিনিধি।। ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ১নং চেচরীরামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মান্নান হাওলাদারকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

বিশ্লেষকদের মতে, মান্নান হাওলাদারের রাজনৈতিক অবস্থান বরাবরই সুবিধাভোগী ও দলবদলমূলক। ২০১৮ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তখন এলাকায় তাকে ‘আওয়ামী ঘরানার প্রার্থী’ হিসেবেই পরিচিত হতে দেখা যায়।

পরবর্তীতে ২০২২ সালের নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মান্নান হাওলাদার নিজের অবস্থানও বদলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সরকারের অবসানের পর থেকে তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। জানাযায় ১৯৯১ সাল থেকে গোপনে ডাকাত দলের নেতৃত্ব দেয় এই মান্নান, বর্তমানে তার অধিনে রয়েছে ইউনিয়নের চোর ডাকাত এবং মাদক ব্যাবসায়ীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মান্নান হাওলাদার মূলত নিজের ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা ও ক্ষমতার সাথে থাকতে রাজনীতি করেন। তিনি কখনোই কোনো রাজনৈতিক আদর্শে অটল ছিলেন না। যে দলই ক্ষমতায় থাকে, তিনি তার সঙ্গেই নিজেকে যুক্ত করেন—এমন চিত্র বারবার উঠে আসছে তার রাজনৈতিক জীবনে। স্থানীয়রা আরো জানান মান্নান হাওলাদার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার একাধিক হত্যা মামলার আসামি।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে মান্নান হাওলাদার মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, এ ধরনের দলবদলু রাজনীতিবিদরা জনগণের আস্থা হারাচ্ছেন এবং রাজনৈতিক শৃঙ্খলাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা থাকে—তিনি হোন আদর্শবান, নিষ্ঠাবান এবং স্বচ্ছ। কিন্তু মান্নান হাওলাদারের কর্মকাণ্ডে বারবার সেই প্রত্যাশার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *