কাঠালিয়ার চেঁচরীর অপরাধ জগতের সম্রাট আল আমিন

slider lead Uncategorized অন্যান্য অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় বরিশাল

বিশেষ প্রতিনিধি।। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ১নং চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের সকল অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের মূল হোতা আল আমিন এখন প্রকাশ্য এসেছে। বিগত দিনে লোক চক্ষুর আড়ালে থেকে মাদক ব্যাবসা চাঁদা বজির নেতৃত্ব দিয়েছে আল আমিন। মাদক ব্যাবসা এবং চাঁদাবাজি ব্যাতিত একাধিক অপরাধের সাথে যুক্ত আল আমিন বলে জানিয়েছেন স্থানিয় লোকজন।

আল আমিন এবং সুমাইয়া

অনুসন্ধানে পাওয়াজায়, কাঁঠালিয়ার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের,খালেক হাওলাদারের পুত্র আল আমিন,কয়েক বছর ধরে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম জামালের অফিসে পিয়নের চাকরি করতো,পূবালী ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে একটি লোন সেকশনে কাজ করতো, ঢাকা শহরে কিছু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে,ব্যাংক লোনের নাম করে নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে ঢাকা ছেড়ে, এখন এলাকায় থাকে, এসব কাহিনী জানার পরে রফিকুল ইসলাম জামাল সাহেব অফিস থেকে বের করে দেয় পিওনের চাকরিটাও চলে যায়। চাকরির সুবাদে বিএনপি ছাত্রদল এবং যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে সক্ষতা গড়ে তোলেন আল আমিন। ৫ আগস্টের আগে আল আমিন জনগনের সামনে না এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়াছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পরে জনগনের সামনে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আল আমিন।

অনুসন্ধানে আরো পাওয়াজায় রামপুর গ্রামের, মোহাম্মদ আব্দুল বারেক হাওলাদারের পুত্র জাহিদ হাওলাদার আল আমিনের বাল্যবেলার বন্ধু। জাহিদ বিদেশে যাবার পরে ববন্ধুত্বে সুবাদে জাহিদের বাসায় আসা যাওয়া করতো আল আমিন। আল আমিন ওমান প্রবাসীজাহিদের স্ত্রী সুমাইয়ার বাজার করে দিতে বলে জানাগেছে। তারি ধারাবাহিকতায় সুমাইয়ার সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে জাহিদের পাঠানো টাকা স্বর্ণালংকার এবং জাহিদের স্ত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায় আল আমিন। এখন পর্যন্ত সুমাইয়া জাহিদ কে ডিভোর্স দেয়নি অবৈধভাবে সুমাইয়া কে নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত বসবাস করে এবং ডাকাত আলামিন বিভিন্নভাবে জাহিদ হাওলাদার কে হুমকি-ধুমকি দিচ্ছেন যাতে সে দেশে না আসতে পারে। ওমান প্রবাসী জাহিদ হাওলাদারের স্ত্রী ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বামন কাঠি গ্রামের কবির খানের মেয়ে সুমাইয়া জাকে নিয়ে বর্তমানে অবৈধ ভাবে সংসার করেন আলআমিন।

আরো জানাজায়, উপজেলার কৈখালী বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবিদের এনে মাদকের আড্ডা মিলায় আল আমিন। গাজা ইয়াবা ফেন্সিডিলের ব্যাবসা রয়েছে আল আমিনের নেতৃত্বে। ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি জোর পূর্বক জমি দখল সহ আরো অগনিত অভিযোগ আল আমিনের বিরুদ্ধে।

আল-আমিন,২০০৭ এবং ২০০৮  সালের দিকে কাঠালিয়া থানার দুটি ডাকাতি মামলায় তিন মাস জেল খাটেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আল আমিনের ফোনে একাধিকবার কল করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *